সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২২ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : শীত, গরম, আর মেঘের আক্রমন বরাবরই বেশী থাকে চায়ের রাজধানী খ্যাত মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলায়। এই চলিত শীত মৌসুমে কয়েকদিন আগেই দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৭দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। আর আজ বৃহস্পতিবার (১৯ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হলেও ঠান্ডা প্রকোপ একটু বেশী মনে করছেন মানুষ।
সারাদিনে দেখা মেলেনি সূর্যের তাই মানুষ শীতের পোশাক পরেই কাটিয়েছেন দিন। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয়েছে শীতল বাতাস। সময় বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। শীতের তীব্রতা বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারন খেটে খাওয়া মানুষ আর চা বাগানের দরিদ্র শ্রেনির শ্রমিকরা। বাগান শ্রমিকরা সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত একটানা চা তোলার কাজ করে থাকেন। পর্যাপ্ত আয় না থাকায় তারা কোন রকম দিনাতিপাত করেন। এর মধ্যে আবার শীতের কাপড় কেনার বাড়তি চাপ। প্রতি বছর সরকারি বে সরকারি ভাবে বিতরণ করা পাতলা কম্বলই তাদের ভরসা । আর এই তীব্র শীতে এসব কম্বলে কোন রকম শীত নিবারন করে চলেছেন চা বাগানের দরিদ্র শ্রমিকরা।
এদিকে শহর ও শহর তলীর নিম্ন আয়ের মানুষরা ও পড়েছেন বিপাকে। শীতের আক্রমন আর শিশু সন্তানের শীতজনিত নানান রোগে কাবু করতে শুরু করেছে । এই শীত থেকে রক্ষায় সরকার আর বিত্তবানদের দিকে তাকিয়ে আছেন হতদরিদ্ররা ।
ইতিমধ্যেই উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় হতদরিদ্রদের মাঝে সরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।তবে তা পর্যাপ্ত নয়। অপরদিকে আজ রোদ না উঠায় সারাদিন শীতে কাবু ছিলেন মানুষ । তাই শীতের পোশাক কিনতে শহরের বিভিন্ন মার্কেটে ছিল ক্রেতাদের ভীড়।